প্রকাশিত: ১৫/১২/২০১৬ ৭:৫৭ এএম

ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার :

মওসুমকে ঘিরে দেশী-বিদেশী পর্যটক আগমনের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কক্সবাজার সাজানো ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা। শুরু হয়েগেছে কক্সবাজার শিল্প ও বাণিজন্য মেলা । শুধু তাই নয়, প্রতিবছরের মত এবারও শীতকালিন অবকাশ এবং থার্টি ফাস্ট নাইটকে আরো প্রাণবন্ত করতে নববধুর সাজে সজ্জিত করা হচ্চে পুরো শহরকে । এই অবস্থায় ইংরেজি বর্ষকে বিদায়- বরণসহ সরকারি বিভিন্ন ছুটি উপভোগ করতে ইতোমধ্যেই ককসবাজারে ছুটে আসছেন অগণিত পর্যটক । ফলে ঢাকা, চট্টগ্রুাম, কক্সবাজার ও সৈকত সংশ্লিষ্ট সব সড়ক উপ সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যান ও জনজট।

জানাগেছে, এজন্যই পুরো ডিসেম্বর জুড়ে ককসবাজারের হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ এবং তারকা মানের আবাসিক হোটেল সমুহ আগাম ভাড়া হয়ে গেছে। বিশেষ করে চলতি মাসের ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর কলাতলীর সব হোটেল বুকিং হয়ে গেছে।

এছাড়া শেষ ১০ দিনের জন্যও কোন হোটেলে কক্ষ খালি নেই। পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই অভাবনিয় ব্যবসার কারনে ব্যবসায়িদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। গত বছর পর্যটন বর্ষ পালনে বীচ কার্নিভালসহ নানা কর্মসূচি গ্রহন করা হলে ও অদ্যাবধি এ বছর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কর্মসূচি গ্রহনের খবর পাওয়া যায়নি। কাজের ভারে ঝিমিয়ে পড়া মানুষ একটু প্রশান্তির খোজে প্রতি বছর শীত মৌসুমে ভীড় করে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ককসবাজারে। এবছর ও ব্যতিক্রম নয়। চলতি ডিসেম্বর মাসে ককসবাজারে পর্যটকদের মেলা বসতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ককসবাজারের ২শতাধিক আবাসিক হোটেল অগ্রিম ভাড়া হয়ে গেছে। বিশেষ করে চলতি মাসের শেষ দশ দিন কোন হোটেলে রুম খালি নেই বলে জানা গেছে। বেশি টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছেনা কোন হোটেলের কক্ষ। বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের কর্মকর্তা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িদের সাথে আলাপকরে জানা যায় , শীতকালিন অবকাশ , শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে, এবং চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে সরকারি ছুটি থাকার কারনে পর্যটকে টইটুম্বর হতে যাচ্ছে ককসবাজার। তারকা মানের হোটেল রয়েল টিউলিপ এর বিপনন কর্মকর্তা শামসুল আলম জানান, পুরো ডিসেম্বরজুড়ে আমাদের হোটেলে ১৫০ জন বিদেশি পর্যটক থাকবে যারা বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক সংস্থায় কর্মরত। এছাড়া ৮০ শতাংশ কক্ষ ইতোমধ্যে ভাড়া হয়ে গেছে। তবে ২০ ডিসেম্বর থেকে কোন কক্ষ খালি নেই। কলাতলির তারকা মানের হোটেল সী গালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ ইমরুল ইসলাম ছিদ্দিকী রুমি জানান, আমাদের হোটেলে দুই তৃতীয়াংশ কক্ষ অগ্রিম ভাড়া হয়ে গেছে । বিশেষ করে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোন কক্ষ খালি নেই।পর্যটকদের আর্কষনে ইতোমধ্যে হোটেলকে নানা ভাবে সাজানো হচ্ছে। ইনডোর নানা অনুষ্ঠান থাকছে পর্যটকদের জন্য । পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই পর্যটক টানতে বিভিন্ন স্পটসমুহকে নিজ উদ্যোগে সাজাচ্ছে ব্যবসায়িরা। কলাতলির তারকা মানের হোটেল ওশান প্যারাডাইস, সাইমন, লং বীচ, ককস টুডেসহ মাঝারি মানের হোটেল সমুহ নিজ উদ্যেগে সাজাচ্ছে হোটেল সমুহ । প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেওয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। এদিকে আসন্ন পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের নিরাপত্তায় পদক্ষেপ গ্রহন বিষয়ে ককসবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন জানান, আমরা প্রতি বছর পর্যটকদের নিরাপত্তায় নানা কমূসূচি গ্রহন করি এ বছর ও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কয়েকদিনের মধ্যে আমরা প্রস্তুতি সভা করব। তবে আমরা টহল জোরদার , আবাসিক হোটেল সমুহে সিসিটিভি ক্যমেরা বসানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছি। বসানো হয়েছে কিনা যাচাই করা হচ্ছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতি বছর ককসবাজারের পর্যটন স্পট সমুদ্র সৈকত, ইনানী, সেন্টমার্টিন, হিমছড়ি, সোনাদিয়া, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির,ডুলহাজারা,বঙ্গবন্ধু সাফারি র্পাক, গুদুম গুহা, রামুর রামকোট, ১শ ফুট বিশিষ্ট সিংহশয্যা বৌদ্ধমূর্তি দেখতে পর্যটকরা ভীড় জমায়। এ বছর ও লক্ষাধিক পর্যটক আসার সম্ভাবনা বলে আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...